গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে
গণ টিকাদান শুরু করে সরকার। এর আগে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ৫০০ জনের
বেশি মানুষকে দেওয়া হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এমআইএস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একদিনে
টিকা নিয়েছেন ৭৮ হাজার ৮১৭ জন। সব মিলিয়ে টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখ ৬৯ হাজার
৪৯ জন।
টিকার জন্য নিবন্ধন
করেছেন ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৯ জন মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ৯২৩ জনের মধ্যে কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
তবে তাদের কী কী উপসর্গ দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
করোনাভাইরাসের টিকাদানের
যে জাতীয় পরিকল্পনা সরকার করেছে, তাতে সারা দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া
হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তথ্য মতে, সোমবার ঢাকা মহানগরে নয় হাজার ৪৬২ জন টিকা নিয়েছেন। ঢাকার ৪৭টি হাসপাতাল
ও কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার যে তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাতে দেখা গেছে, এদিন সবচেয়ে
বেশি ৭৮৬ জন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন।
বিভাগভিত্তিক হিসেবে
সবচেয়ে বেশি ২২ হাজার ৮১ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ছয় হাজার ১৪১
জন, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৪৬৭ জন, রাজশাহীতে ১১ হাজার ৫০২ জন, রংপুরে ১২ হাজার ৭২৮ জন,
খুলনায় আট হাজার ৮৫৫ জন, বরিশালে দুই হাজার ৭০০ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই হাজার ৩৪৩
জন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।
শুক্রবার ও সরকারি
ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকাসহ সারা দেশে ১০১৫টি
হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে।
ঢাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২১৯৬টি দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকা
প্রয়োগ করছেন।
ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাসের
টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট সাত হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত
রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিটি দল দৈনিক ১৫০ জনকে টিকাদান করতে পারবে। সে হিসেবে
দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।