কোনাবাড়ী ও সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার থোয়াই অং প্রু মারমা জানান, বুধবার রাতে ভোগড়া এলাকার ‘মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র’ থেকে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্রের মূল ভবনের তৃতীয় তলার স্টোর রুমের জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে যায় ১৪ হেফাজতি। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে জয়দেবপুর রেল জংশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাতজনকে উদ্ধার করে। অন্যদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”
তবে কিভাবে তারা পালাল তা তিনি বলতে পারেননি।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম না জানিয়ে বলেন, ঘটনার রাতে কেন্দ্রে একজন নারী পিওন, প্রধান ফটকে দুইজন গার্ড ও দুইজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিলেন। গভীর রাতে ১৪ হেফাজতি মূল ভবনের পেছনের দিকে তৃতীয় তলার স্টোর রুমের জানালার গ্রিল কেটে ফেলে। তারা ওড়না বেঁধে নিচে নেমে একসঙ্গে পালিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃতরা তাদের আর ওই হেফাজত কেন্দ্রে না পাঠানোর অনুরোধ করেছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারকৃতরা জয়দেবপুর জংশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল।
“সেখানে তাদের সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র থেকে পালানোর কথা স্বীকার করে। তাদের মধ্যে চারজন বোবা। তাদের বয়স ১৫ থেকে ২৮ বছর।”
কেন্দ্রটি বাসন থানায় হওয়ায় তাদের বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের তত্বাবধায়কের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
সকালে গাজীপুরের ডিসি এসএম তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রটি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায়। এখানে জনবলের ঘাটতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি যত বড়, সেই তুলনায় জনবল কম। জনবল বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে।
২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রটি থেকে একই কায়দায় ১৭ জন হেফাজতি পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে ওই দিনই টাঙ্গাইলের একটি রেলস্টেশন এলাকা থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ২৬ জানুয়ারি কেন্দ্রে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নাজমা আক্তার (২০) নামে এক হেফাজতি আত্মহত্যা করেন।