বৃহস্পতিবার
আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে দুদক দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের
সহকারী পরিচালক আহসান কবির পলাশ জানান।
এনিয়ে এই
মামলায় তিন জন গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের ক্যাশ সরকার আমিরুল ইসলাম ও দিনাজপুর জেলা একাউন্টস অফিসের অডিটর মাহাফুজুর
রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার
বাদী দুদক দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহসান কবির পলাশ বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাশ সরকার আমিরুল
ইসলাম ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করে এবং নিজের পদবী ‘সিনিয়র স্টাফ নার্স’
উল্লেখ করে হাসপাতালের বিলের সাথে তার তৈরি করা ভুয়া-বিল ভাউচার জেলা একাউন্টস অফিসে
জমা করে এসব টাকা আত্মসাৎ করেন।
“এম. আব্দুর
রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সসহ ৭১০ জনের
নামে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি কোষাগার থেকে ২ কোটি ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৮ টাকা
আত্মসাৎ করেছেন তারা।”
আর এই কাজে
জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মাহাফুজার রহমান ও তৎকালীন জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা
সাইফুল ইসলাম মন্ডল সহযোগিতা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়, বলেন আহসান কবির।
আহসান
কবির জানান, এই টাকা আত্মসাৎ মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা
সাইফুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
ক্যাশ সরকার আমিরুল ইসলাম ও দিনাজপুর জেলা একাউন্টস অফিসের অডিটর মাহাফুজুর রহমানকে
আসামি করে মামলা করেন।
তিনি
জানান, পরে একই অভিযোগে দুদক নিজেরা একটি মামলা করে এবং তদন্ত করে তৎকালীন জেলা হিসাবরক্ষণ
কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মন্ডলের সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মন্ডল বর্তমান বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) বলে জানান আহসান কবির।
