বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবরাণ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী এই নারী পরিদর্শক সারদা পুলিশ ট্রেনিং একাডেমিতে সংযুক্ত রয়েছেন।
মহানগর পুশিল কমিশনার বরাবর জমা দেওয়া তিনি তিন পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্রে তিনি বলেছেন, “ওসির প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তিনি আমার সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিতেন। একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন।
“গত ১৬ মার্চ রাত দেড়টার দিকে আমার স্বামী মাহবুব হোসাইনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সে সময় আমি ওসি নিবরাণচন্দ্রের কাছে গেলে তিনি আমাকে আবার প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে আবারও হুমকি দেন।”
পরে মাহবুবকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মাহবুবের বাড়ি রাজশাহী শহরের চন্দ্রিমা থানার ললিতাহার এলাকায়। তিনি একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক। তিনি সেই বাড়িতে থাকেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে ওসি প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “তার স্বামী শিবিরের রাজনীতি করে; খড়খড়ি এলাকায় শিবিরকে সংঘঠিত করার কাজ করছিল। এ কারণে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার স্বামীকে না ছাড়ার কারণে তিনি এই অভিযোগ করেছেন। আমি কেন তাকে প্রস্তাব দেব?”
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”