পূর্বধলা উপজেলায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন
ইউএনও উম্মে কুলসুম।
ইউএনও জানিয়েছেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ
অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলার চৌরাস্তা বাজার, রাজার বাজার, বনপাড়া, জালশুকা, বালুচরা
বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
“মাস্ক না পরায় ১২ জনকে সাত হাজার টাকা জারিমানা করা হয়।”
তাছাড়া গণপরিবহনে যাত্রীদের মাঝে ৩০০ মাস্ক বিতরণ করে তাদের স্বাস্থ্যবিধি
মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও জানান ইউএনও।
জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে ২৪
মার্চ পর্যন্ত জেলায় ১৩ হাজার ১৮৭ জনের নমুনার মধ্যে ১৩ হাজার ৭০ জনের রিপোর্ট পাওয়া
গেছে। ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ সংক্রমণের হারে শনাক্ত হয়েছেন ৮৯১ জন। ৯৬ দশমিক ২৯ শতাংশ হারে
সুস্থ হয়েছেন ৮৫৮ জন। এক দশমিক ৮০ শতাংশ মৃত্যুর হারে মারা গেছেন ১৬ জন।
তিনি আরও জানান, জেলায় ৪৫ হাজার ৫৩০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আরও ১১ হাজার
ডোজ মওজুদ আছে। জেলা সদর ও উপজেলা হাসপাতালগুলো
মিলিয়ে করোনা রোগীর জন্য ১১৬টি শষ্যা রাখা হয়েছে। একটি এম্বুল্যান্স রাখা আছে। পর্যাপ্ত
অক্সিজেনও আছে।
“চিকিৎসক ও নার্সের ঘাটতি নেই। র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে জেলা
সদর হাসপাতালে।”
আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে উপজেলা হাসপাতালগুলোতেও র্যাপিড এন্টিজেন
টেস্ট চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা
সদর হাসপাতালে গত ১৭ ডিসেম্বর চালু করার পর এ পর্যন্ত ১৬০ জনের টেস্ট করা হয়েছে। বর্তমানে
এই টেস্ট বাড়ছে।