ক্যাটাগরি

পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায় অনেকে: মাহতাব

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন ও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নগর আওয়ামী
লীগের উদ্যোগে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে
তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ
আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা পেছনের দরজা দিয়ে
ক্ষমতা দখল করতে চায়। এ বাস্তব পরিস্থিতি উপলদ্ধি করে আমাদেরকে সর্তকতার সাথে সামনের
দিকে এগুতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দলীয় শৃঙ্খলা ও সুদৃঢ় ঐক্য।

“পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের ক্ষমতার কুক্ষিগত করার সকল ষড়যন্ত্র
মোকাবেলা করতে না পারলে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদের বেঁচে থাকার কোন অর্থ নেই।”

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর
জন্য একে একে মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনগুলোকে বির্সজন দেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে মাহতাব
বলেন, “এমনকি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের আত্মস্বীকৃত খুনিদের ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে
বিচার রহিত করে তাদেরকে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত
করা হয়। এই লজ্জায় আমরা ক্ষত বিক্ষত হয়েছি।

“সেই ষড়যন্ত্র কিছুতেই ভুলবার নয়। তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি আবারো যদি একাত্তরের
পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা ডালপালা মেলে তা বেড়ে উঠার আগেই উপড়ে ফেলতে হবে। এছাড়া
আমাদের সামনে আর কোন পথ নেই।”

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “বঙ্গবন্ধু
প্রথমত বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং এটাও বলেছিলেন এবারের
সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই অর্থনৈতিক মুক্তি সাধিত
হত।

“তবে আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত
দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। দেশে দারিদ্রের কালিমা নেই বললেই চলে। সারাবিশ্বে
বাংলাদেশ আজ চমক জাগানো উন্নয়নের রোল মডেল।”

আ জ ম নাছির বলেন, “আজ যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেন তারা বিভিন্ন
সভা-সমাবেশে বক্তৃতায় অনেক কথা বলেন। যা ক্ষেত্র বিশেষে বিভ্রান্ত্রিও ছড়ায়। এভাবেই
ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে।

“আজ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক পোষ্য সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে লোভনীয় পদে আছেন।
তবে তাদের অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই। এমনকি তাদের সাথে বিএনপি জামাত ও স্বাধীনতা
বিরোধীদের লিংক রয়েছে। আবার অনেক সরকারি কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা নন, ভূয়া সনদপত্র দাখিল
করে অতিরিক্ত ও অনাকাক্সিক্ষত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে
এই লজ্জা আমাদের ঘুচিয়ে ফেলতে হবে।”

নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়
বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও খোরশেদ
আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক
আদনান, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ইলিয়াছ, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা,
কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী ও শেখ মাহমুদ
ইছহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী,
নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, জোবাইরা নার্গিস খান, মানস রক্ষিত, আবদুল
আহাদ, আবু তাহের প্রমুখ।