বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি আগামীকাল জাতীয় দিবসের উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, যাতে শততম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করা হবে।
“গত শতাব্দীর অন্যতম শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু, যার জীবন ও আদর্শ এখনও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।”
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও অধীর অপেক্ষার কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসেই ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন তিনি।
সফর সম্পর্কে বিবৃতিতে মোদী বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারীর এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।”
সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুই মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ কর মোদী বলেন, “সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণীর প্রচার করেছিলেন।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এরসঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।”
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।