দুই আয়োজনে যোগ দিতে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগের দিন বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে
‘থ্রু মাই আইজ:দ্য বার্থ অব বাংলাদেশ’ নামের বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
স্টেটসম্যান পত্রিকার
এক সংবাদে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়ছেন এমন ১০টি ছবিও
স্থান পেয়েছে বইটিতে।
অভিজিৎ দাশগুপ্ত তখন
কলকাতার নামকরা দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় কাজ করতেন। কখনও তিনি এই ছবিগুলো তুলেছিলেন
তখনকার পূর্ব পাকিস্তান ঢুকে, আবার কখনও সীমান্ত এলাকা থেকে।
তখনকার বিশ্বের নেতৃস্থানীয়
ফটো এজেন্সি গামা প্রেস ইমেজের মাধ্যমে দুনিয়াব্যাপীও তিনি ছবি ছড়িয়ে দিতেন।
অভিজিৎ দাশগুপ্ত গণমাধ্যমকে
বলেছেন, “একটি ছবি যদি হাজার শব্দ প্রকাশ করে থাকে তাহলে আমি অবশ্যই পূর্ব পাকিস্তানে
ঘটা গণহত্যা, যা তখনও উন্মোচিত হয়নি, সে সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী মতামত তৈরিতে সামান্য
হলেও অবদান রেখেছিলাম।”
অভিজিৎ দাশগুপ্তের
শেকড়ও ঢাকায়।
সেকথা তুলে তিনি বলেন,
“পাকিস্তানীরা বাঙালিদের হত্যা করছিল। ঝুঁকি আছে জেনেও আমি সে সময় পূর্ব পাকিস্তানে
গিয়েছিলাম।”
মূলত বইটিতে তিন ধরনের
ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। গণহত্যার ঘটনা ও ধ্বংসযজ্ঞ, সশস্ত্র সংগ্রাম-গেরিলা অভিযান,
শরণার্থী শিবির এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ের কিছু ছবি। রয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কিছু
বিরল ছবিও।
বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে
শেখ কামালের সঙ্গে ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে যুদ্ধদিনের এই ফটো সাংবাদিক বলেছেন,
“শেখ কামাল তখন মুক্তিবাহিনীতে ছিলেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার এমএজি ওসমানীর এডিসি
ছিলেন। তিনি একজন প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন এবং আমাকে ছায়ার মতো রাখতেন।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে
শেখ কামাল ও তার স্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার ঘটনা মনে করলেই চোখে পানি
চলে আসে বলেও জানান অভিজিৎ দাশগুপ্ত।
দাশগুপ্তর কাছে রয়েছে
বঙ্গবন্ধুর বাবা-মায়ের ছবিও।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর
সাতই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার কথা শোনার পর সবাই তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো গ্রহণ করে।
নয় মাসে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, কিন্তু ঠিকই তারা তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে।”
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক
অগ্রগতি নিয়ে অভিজিৎ বলেন, “বাবার মতোই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শেখ হাসিনা
একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার দেশকে।”
বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়
উক্তি ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্ব
প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, ২০১০ থেকে ২০ সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়নে পাকিস্তানকে
টপকে গেছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্সে বাংলাদেশে ১০ দিনব্যাপী
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দুই উদযাপনে অংশ নিতে শুক্রবার দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।