দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচটিতে শেষ দিনে রাজশাহীর দরকার ছিল ১৩৬ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু মেহেদি হাসান রানার বোলিং তোপে কেবল ৪৭ রান যোগ করেই তারা গুটিয়ে গেছে। ৮৮ রানের জয়ে প্রথম স্তরে ফেরার অভিযান শুরু করল মুমিনুল হকের দল।
শেষ দিনে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাঁহাতি পেসার মেহেদি রানা।
রাজশাহীর ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিক। সঙ্গীর অভাবে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান অপরাজিত থেকে যান ৬৮ রানে। তার ১৬৩ বলের ইনিংসে চার আছে পাঁচটি।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মেহেদি হাসান রানা।
জিততে জুনায়েদ ও ফরহাদ রেজা জুটির দিকে তাকিয়ে ছিল রাজশাহী। এ জুটিকে দ্রুতই থামিয়ে দেন মেহেদি রানা। দিনের চতুর্থ ওভারে বিদায় করেন রেজাকে। পরের ওভারে এলবিডব্লিউ করেন প্রিতম কুমারকে।
তাইজুল ইসলামকে ইফরান হোসেন বোল্ড করার পর শফিকুল ইসলামকে এলবিডব্লিউ করে জয় নিশ্চিত করেন মেহেদি রানা।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পাওয়া আসাদুজ্জামান পায়েল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেননি।
দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদি রানার শিকার ৩৫ রানে চার উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৭ রানে সাত উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ২৮৭
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৫২
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ১৪৭
রাজশাহী ২ম ইনিংস: (লক্ষ্য ২৮৩, আগের দিন ১৪৭/৫) ৬৯ ওভারে ১৯৪ (জুনায়েদ ৬৮*, রেজা ২৫, প্রিতম ৩, তাইজুল ৫, শফিকুল ৫, পায়েল আহত অনুপস্থিত; ইফরান ১৪-৩-৪০-৩, নোমান ১৪-০-৬১-০, মেহেদি রানা ১৭-৬-৩৫-৪, হাসান ১৯-৩-৩৬-১, ইয়াসির ৫-০-১৫-১)
ফল: চট্টগ্রাম ৮৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মেহেদি হাসান রানা।