স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার নবম দিন বৃহস্পতিবার প্রিন্স
অব ওয়েলস চার্লসের একটি ভিডিওবার্তা প্রচার করা হয় ।
বার্তায় তিনি বাংলায়
বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশকে আমার অভিনন্দন।”
দারিদ্র্য বিমোচন,
জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিরও প্রশংসা
করেন তিনি।
“বাংলাদেশের স্বাধীনতার
৫০ বছর পূর্তিতে ব্রিটেন, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথভুক্ত দেশ এবং সারাবিশ্বে উদযাপনে অংশ
নেওয়া সবাইকে ভিডিও বার্তায় অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। মাহামারীর কারণে
এই বিশেষ বর্ষে বাংলাদেশে আমার সফরটি করতে না পারা খুবই দুঃখের বিষয়।
“করোনাভাইরাসের মধ্যে
যারা সামনে থেকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরকে অভিনন্দন। একই
সঙ্গে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কর্মরত ব্রিটিশ বাংলাদেশিদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশের উন্নয়নের
প্রশংসা করে তিনি বলেন, “গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখার সুযোগ হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করার মতো।
“বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের
প্রভাব মোকাবেলায়ও শক্তিশালী অবস্থানের পরিচয় দিয়েছে। আমাদের সবারই জলবায়ু পরিবর্তন
প্রতিরোধে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ক্লাইমেট ভালনারেবল
ফোরামের চেয়ারপার্সন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।”
১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশের
দেড় কোটি মানুষের দারিদ্র্যসীমা থেকে উত্তরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, মৃত্যুহার কমিয়ে
আনা এবং বিশ্বের অন্যতম বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার প্রশংসা করেন চার্লস। পাশাপাশি
ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভূমিকারও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি।
চার্লস বলেন, “আপনার
দেশের মানুষের অভাবনীয় বুদ্ধিমত্তা সারা বিশ্বেই প্রশংসিত। বিশেষ করে বসবাসরত ছয় লাখ
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্রিটিশদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে কাজ করে যাচ্ছে। জীবনের
সর্বক্ষেত্রে এই কমিউনিটির অবদান আমি দেখেছি। গণতন্ত্র, ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন
ও শান্তি শৃ্ঙ্খলার প্রতি ব্রিটেন ও বাংলাদেশের রয়েছে যৌথ প্রতিশ্রুতি।”