শুক্রবার সন্ধ্যায়
নগরীর শায়েস্তা খান রোডে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে লেডিস ক্লাব ও মহিলা ক্রীড়া
সংস্থা তাদের সম্মাননা দেয়।
সম্মাননা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা
হলেন ফরিদা আক্তার, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, মঞ্জুশ্রী নিয়োগী, প্রীতি কনা দাস, দীপা ইসলাম,
শিখা চক্রবর্তী ও মাসুদ সুলতানা।
অনুষ্ঠানে নারী মুক্তিযোদ্ধারা
তাদের বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধের
সেইসব দিনের ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে অনেকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
তারা মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহবান জানান।
মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা
পারভীন বলেন, “আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরের সুবর্ণজয়ন্তী করছি। আর ৫০ বছর পর এরকম আরেকটি
জয়ন্তী করতে পারব কিনা জানি না। তাই নতুন প্রজন্মের কারছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে
ধরতে হবে।”
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
মোস্তাইন বিল্লাহ্ বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের জন্যই আমরা পেয়েছি
স্বাধীন একটি দেশ। আমি এক সঙ্গে এত নারী মুক্তিযোদ্ধা দেখিনি। তারা কিছু পাবার আশায়
যুদ্ধ করেননি; দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন।”
সদর ইউএনও নাহিদা বারিক
বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। যতদিন এই
দেশ থাকবে, ততদিন আপনারা (মুক্তিযোদ্ধারা) থাকবেন। আপনারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।”
অনুষ্ঠান শেষে সাত
মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়। এর আগে মুক্তিযোদ্ধারা
সাত জন নতুন প্রজন্মের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
লেডিস ক্লাব ও মহিলা
ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক পত্মী নাসরিন সুলতানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
লেডিস ক্লাব ও মহিলা
ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সদর ইউএনও নাহিদা বারিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।