এই পতাকার রঙ তখনও সবুজ ছিল
তখনও উতলা হাওয়া এই পতাকায় ঢেউ তুলতো
বৃষ্টির বর্ষণে তখনও এই পতাকা স্নিগ্ধময়ী হতো,
পার্থ্ক্য কেবল তখন ছিলো না এই পতাকায় লাল রঙ
তার বদলে ছিল এতে কিছু পিশাচ হায়েনা
এই পতাকাকে যারা খামচে ধরেছিল
এই পতাকার সমস্ত রঙ তারা শুষে নিতে চেয়েছিল
তাদের নাম শুনলে আজও বিতৃষ্ণায় আমার গা শিউরে ওঠে।
ওই হায়েনাদের অবয়ব কেমন ছিল জানো?
ওরা ছিল সাদা সাদা দু’দলে বিভক্ত
এই পতাকার প্রান্তে অবস্থানরত ওদের এক দল ছিল আয়তাকার
হায়েনাগুলোর আরেক দলের আকার ছিল বাঁকা চাঁদের কোলে তারকার মতো
যারা এই সবুজ পতাকার কেন্দ্রে অবস্থান করে
হাত মিলিয়েছিল ওই আয়তাকার দলটির সাথে
দু’দলে মিলে ভাগ করে খাচ্ছিল এই পতাকা।
ঠিক তখনই এই পতাকায় গর্জে উঠেছিল এক মাতৃভক্ত সিংহ
যার হুংকারে এই পতাকার সবুজে জেগে উঠেছিল
লাখো লাখো মাতৃভক্ত বাঘ
তারা ছিল একজন গর্বিত মায়ের গর্বিত সৈনিক
সিংহের কথায় রাজি হয়ে তারা
মায়ের গায়ে হায়েনার থাবা মোকাবেলায় রক্ত ঝরানোর শপথ নিয়েছিল
গুহায় গুহায় দুর্গ গড়ার শপথ নিয়েছিল।
অতঃপর কোনো এক বসন্তের কালোরাতে
হায়েনার দলগুলো অতর্কিত থাবা বসাতে শুরু করলো এই পতাকায়
আর সাথে সাথে বাঘগুলোও ঝাঁপিয়ে পড়লো তাদের উপর
তারপর দুদলের সে কী ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ!
রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষ চললো টানা ন’মাস ধরে।
অবশেষে সেই সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে
মাথানত করে হায়েনাগুলো পালালো এই পতাকা ছেড়ে
ততদিনে লাখো লাখো শহীদ বাঘের রক্তে রঞ্জিত হলো এই পতাকা
যে রক্ত এই পতাকার কেন্দ্রে বৃত্তাকার রূপ ধারণ করলো
ওদের কাছে যা পড়ন্ত বিকেলের হেলে পড়া সূর্যের মতো
আর আমাদের কাছে ভোরের আবিরমাখা পুবাকাশে উদীয়মান সূর্যের মতো
সেই থেকে এই পতাকাটির রঙ লাল-সবুজ হলো
আর সেই থেকেই লাল-সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হলো।
লেখক পরিচিতি: শিক্ষার্থী, দ্বাদশ শ্রেণি, কাদিরদী কলেজ, বোয়ালমারী, ফরিদপুর
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |