যাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা যুক্তরাজ্যে চীনের সবথেকে সরব সমালোচক। চীন সরকারের বিরুদ্ধে শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমানদের উপর ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে তারা কাজ করছেন।
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সোমবার দেশটির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য ও কানাডা। সম্ভবত তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে শুক্রবার চীন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় এক টুইটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘‘যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর আলোকপাত করেছেন।
‘‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলার স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং আমি দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে আছি।”
The MPs and other British citizens sanctioned by China today are performing a vital role shining a light on the gross human rights violations being perpetrated against Uyghur Muslims.
Freedom to speak out in opposition to abuse is fundamental and I stand firmly with them.
— Boris Johnson (@BorisJohnson) March 26, 2021
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, যদি বেইজিং তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ ‘বিশ্বাসযোগ্যভাবে খণ্ডন’ করতে চায় তবে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে তাদের শিনজিয়াংয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দিতে হবে।
চীন যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাদের একজন কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতা এমপি লিন ডানকান স্মিথ। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞাকে তিনি ‘সম্মানজনক ব্যাজ’ হিসেবে পরবেন।
যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা চীন, হংকং ও ম্যাকাউতে প্রবেশ করতে পারবেন না, ওইসব জায়গায় তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে এবং চীনের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন না।