স্বাধীনতা ও জাতীয়
দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় নানা আয়োজন থাকলেও করোনাভাইরাসের
সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ
মিনার ও বিভিন্ন এলাকার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, আলোচনা সভা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনারে পুলিশের সশস্ত্র অভিবাদনের পর পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি
শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় তার সাথে প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর
ও করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা
সংসদের পক্ষ থেকেও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এরপর চট্টগ্রাম বিভাগীয
কমিশনার এবিএম আজাদ, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক, চট্টগ্রাম উন্নযন কর্তৃপক্ষের
চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শহীদ মিনারে
শ্রদ্ধা জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী
লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে
শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এছাড়া বাংলোদেশের কমিউনিস্ট
পার্টি চট্টগ্রাম জেলা, ছাত্র ইউনিযন, যুব ইউনিয়ন, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), সমাজতান্ত্রিক
ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশের ওর্য়াকার্স পার্টি, ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী, জাসদ, ন্যাপ,
প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, বোধন আবৃত্তি পরিষদসহ বিভিন্ন সংগটন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে
শহীদমিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে বীর যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নগরীর এম আজিজ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের
পক্ষ থেকে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার
এবিএম আজাদ। এসময় জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের
এবার শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে হয়নি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালাও চলছে।
সকালে শহীদ মিনারে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর টাইগারপাসে সিটি করপোরেশন
কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় তিনি নগরবাসীকে
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, শহীদদরে আত্মবলিদান দেশ গঠনে প্রজন্মের
প্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি
ও দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে জাতির
জনকের কন্যা জননেত্রী
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের মোহনায় নিয়ে
এসেছেন। কোনো অপশক্তিই
আর আমাদের পিছনের দিকে টানতে পারবে না।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তাদের হলরুমে ‘স্বাধীনতা
ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ
পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া। আলোচনা করেন বিআইটিআইডির পরিচালক
অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ)মাসুদুর
রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডা. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন
করে। দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল চুয়েটের শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা
উত্তোলন ও আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়েট উপচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম। বক্তব্য দেন অধ্যাপক
ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
কাট্টলী মোস্তফা হাকিম
বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পক্ষ থেকে স্বাধনিতা দিবস উপলক্ষে কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য
অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম. মনজুর আলম।