বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সেখানে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশকে একটি ‘গণতন্ত্র, সহিষ্ণুতা ও বহুত্ববাদী দেশের আন্তর্জাতিক মডেল’ হিসেবে বর্ণনা করে এবং
সেদেশের বন্ধুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটের তিন নারী সদস্য জেনিফার রাজকুমার, আলিসিয়া হাইন্ডম্যান ও
ক্যারিনা রিজ এবং দুই সিনেটর জেসিকা রামোজ ও এনা ক্যাপলেনের দুটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের
পরিণত হয়েছে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে
একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় আসীন হতে তার
নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে।
“এই স্টেটের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরাও
বাংলাদেশের এই উদযাপনে গৌরববোধ করছি। নিউ ইয়র্ক স্টেটের বহুজাতিক সমাজের
বৈচিত্র্যমণ্ডিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে
এমন বর্ণাঢ্য কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
উপলক্ষে এর আগে নিউ জার্সি, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জর্জিয়া স্টেট পার্লামেন্টে বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তার কন্যার নেতৃত্বে
বাংলাদেশ সমৃদ্ধির প্রশংসা করা হয়।
১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি
পরিষদেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছে।
নিউ ইয়র্কে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্রহে নারী
সংগঠক এবং ‘সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশিপ এ্যান্ড ট্রেনিং’
(স্যাফেস্ট) এর নির্বাহী প্রধান মাজেদা এ উদ্দিনের মাধ্যমে স্টেট সেনেটে এই ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
২০১৬ সাল থেকে নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রেজুলেশন পাশ
করা হলেও এই প্রথম বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
নাম উল্লেখ করা হয়েছে।