শুক্রবার সকালে সাভারে জাতীয়
স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে তিনি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির
পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার
স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী
কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী
এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় অভিবাদন জানায়।
পরে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট
বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকের
গুলিতে নিহত বঙ্গবন্ধু রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়িতে যেখানে পড়ে ছিলেন, সেখানে ফুলের তোড়া
অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানিদের হাতে আটক হওয়ার
আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে
যান। এরপর চলে ৯ মাসের তীব্র লড়াই; ১৬ ডিসেম্বর আসে চূড়ান্ত বিজয়।
তারপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে ফেরার মধ্য
দিয়ে পূর্ণতা আসে স্বাধীনতার; পরম শ্রদ্ধায় তাকে জাতির পিতা হিসেবে বরণ করে নেয়
নতুন দেশ।
কিন্তু স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ষড়যন্ত্রের জালে বঙ্গবন্ধু
হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর বাংলাদেশের উল্টোযাত্রা শুরু হলেও কয়েক দশক বাদে ক্ষমতায়
ফিরে বাংলাদেশকে পথে ফেরানোর দায়িত্ব নেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা।