শনিবার দুপুর দুইটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক বাসস্টান্ড
এলাকায় এ বিক্ষোভের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মহাসড়কের
সাইনবোর্ড এবং মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের কারণে যানবাহন চলাচল
বন্ধ হয়ে যায়। পরে তাদেরকে সরিয়ে দিলে আবার যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে জানান, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মহাসড়কে উঠলে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানোর
চেষ্টা করলে তাদেরকে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হেফাজতে ইসলামের সারাদেশের বিক্ষোভ কর্মসূচির
অংশ হিসেবে মৌচাক এলাকায় শনিবার দুপুরে নামাজের পর জড়ো হয় নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে
তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে মহাসড়কে থেকে সরিয়ে দিলে আধা ঘণ্টা পর মহাসড়কে
যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
অন্যদিকে শহরের ডিআইটি বাণ্যিজিক এলাকায় শহরের রেলওয়ে ডিআইটি মসজিদের সামনে
বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজত।
সেখানে পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক র্যাব মোতায়েন ছিল। তবে জেলার কোথাও
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের কর্মসূচিকে ঘিরে জেলায় কঠোর নিরাপত্তা
ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিপুল সংখ্যক বিজিবি-র্যাব ও পুলিশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে
অবস্থান নেয়।