শনিবার রাতে গাজীপুর সদর থানার এসআই মো. আল আমিন মামলা দায়ের করেন। সেখানে ৪১ বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়।
গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিএনপির জেলা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারা পাশে ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়কে নেমে যানবাহন চলাচলে ‘বাধা সৃষ্টি করে’।
“খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সড়ক থেকে তাদের সরে যেতে বলে। এ কথা অমান্য করে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলি ও কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের ছয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে ওসি রফিকুল জানান।
এদিকে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মুনির বলেন, গত শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে নরেন্দ্র মোদীবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিল গাজীপুর মহানগর যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
“সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিলেও পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং হামলা চালায়। সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে এবং গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন যুবদলকর্মী মাসুদ মোল্লা ও শামীম মিসি। মামলার এজাহারে তাদের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।