বিবিসি জানায়, ওই নারী সাংবাদিকের নাম প্যাট্রিসিয়া কাম্পুস মেলো। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক বক্তব্যে বোলসোনারো ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর বের করতে একজন সোর্সকে সহবাসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কাম্পুস মেলো।
ওই বছরই বোলসোনারোর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন কাম্পুস মেলো।
শনিবার আদালতের রায়ে বলা হয়, বোলসোনারোর বক্তব্য ওই নারী সাংবাদিকের সম্মানে আঘাত হেনেছে। যে কারণে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে ২০ হাজার ব্রাজিলিয়ান রিয়াল (সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। বোলসোনারো চাইলে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
এই রায়ের পর এক টুইটে কাম্পুস মেলো বলেন, ‘‘এই রায় আমাদের সব নারীদের বিজয়।”
‘দ্য জার্নালিস্টস এগেইনস্ট হ্যারাসমেন্ট’ গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘এই রায় ব্রাজিলের নারী রিপোর্টার এবং পেশাগত সাংবাদিকতার জন্য অসাধারণ একটি দিন হয়ে থাকবে।”
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিলের ক্ষমতায় আসা বোলসোনারোর সঙ্গে সাংবাদিকদের বনিবনা কখনোই ছিল না। তিনি বরাবরই সাংবাদিকদের প্রতি আক্রমণত্মক আচরণ করেন।
স্থানীয় একটি দৈনিকের রিপোর্টার এবং কলামনিস্ট কাম্পুস মেলো ব্রাজিলের পুরস্কার জয়ী সাংবাদিক। ২০১৮ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে একটি গ্রুপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে বোলসোনারোর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে কলঙ্ক ছড়ায়। যা নিয়ে কাম্পুস মেলো ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখেন।
কাম্পুস মেলো গত জানুয়ারিতে বোলসোনারোর ছেলে এদুয়ার্দোর বিরুদ্ধেও একই ধরনের একটি মামলা জেতেন। ব্রাজিলের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য এদুয়োর্দো গত বছর মে মাসে ইউটিউবে এক ভিডিওতে বলেছিলেন, তার বাবার বিরুদ্ধে যায় এমন তথ্য পেতে কাম্পুস মেলো এক সোর্সকে ‘পটাতে চেষ্টা করেছিলেন’।
এজন্য আদালত বোলসোনারোর ছেলেকে ৩০ হাজার ব্রাজিলিয়ান রিয়াল ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।