রোববার সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের চালিমিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জালাল মোল্যা (৬০) চালিমিয়া গ্রামের রহমান মোল্যার ছেলে।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আরিফ (৫০), আকবর (৬০) ও নাঈম (২৫) নামে তিনজনকে আটক করেছে বলে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক নাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন।
মহম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন বিশ্বাস জানান, বাবুখালী ইউনিয়নের চালিমিয়া মৌজায় কিছু সম্পত্তি নিয়ে একই গ্রামের আকিদুল মোল্যার সঙ্গে জালাল মোল্যার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
এ বিরোধের জের ধরে রোববার সকালে চালিমিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার আকিদুল মোল্যার নেতৃত্বে তার লোকজন জালাল মোল্যার জমি দখল করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ঘে বাধে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্প ও মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সংঘর্ষের আকিদুল ও তার লোকজনের লাঠির আঘাতে জালাল মোল্যা ও তার ছেলে ঈসমাইল মোল্যাসহ কমপক্ষে ১১-১২ জন আহত হন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত জালাল মোল্যাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাগুরার ২৫০ শয্য হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ৩টার দিকে জালাল মারা যান।
আহত অন্যদের মধ্যে ঈসমাইল মোল্যা (২৮), ইমরান মোল্যা (৩৫), খোকন (৩৫), আলাউদ্দিন, আশিক (২০), আকবার শেখ (৬০), হালিম (৬৫), হাকিম শেখ (৬০), আকিদুলকে (৪০) মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান এ পরিদর্শক।
পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।