শনিবার
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের পথে রওনা হন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. একে আবদুল মোমেন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।
যাবার
বেলায় মোদী বাংলাদেশের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য। এই সফর দুই
দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলেও এক টুইটে তিনি
আশা প্রকাশ করেছেন।
আমার সফরকালে বাংলাদেশের জনগণ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাঁর উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমার বিশ্বাস, এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
— Narendra Modi (@narendramodi) March 27, 2021
বাংলাদেশের
৫০তম স্বাধীনতা দিবসে শুক্রবার সকালে এয়ার ইনডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে নরেন্দ্র মোদীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
২০২০
সালের মার্চে মুজিববর্ষের আয়োজনে মোদীর উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছিল।
মহামারী শুরুর পর গত এক
বছরের মধ্যে সেই বাংলাদেশেই তিনি প্রথম সফরে এলেন।
শুক্রবার
বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন নরেন্দ্র মোদী।
সন্ধ্যায়
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর’ উদ্বোধন করেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজেও যোগ দেন।
সফরের
দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে যান নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওড়াকান্দি মন্দির পরিদর্শন করে ঢাকায় ফেরেন মোদী।
বিকালে
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেলে শেখ হাসিনা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। দুই সরকার প্রধান সেখানে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
করেন।
পরে
তাদের উপস্থিতিতে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন
ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়। দুই নেতা পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্থর
স্থাপনও করেন।
বৈঠক
শেষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে রাতে তিনি নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।