রোববার দুপুরে ‘স্বাধীনতা
ও রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তির নাশকতা ও নৈরাজ্যবিরোধী অপতৎপরতার’ বিরুদ্ধে নগর আওয়ামী লীগ
আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দারুল ফজল মার্কেট
চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সাবেক মেয়র নাছির বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে নতুন বোতলে পুরানো মদ ভরে এবং ঘোলা
পানিতে মাছ শিকার করতে পঁচাত্তর সালে যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে একুশ বছর
ধরে পাকিস্তানী ভাবধারায় দেশ পরিচালিত করেছিল, তারা হেফাজতে ইসলামের মুখোশে দেশব্যাপী
নৈরাজ্য ও নাশকতার আগুন জ্বালিয়েছে।
“ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর
সফরকে ঘিরে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপূর্ণ গণ্ডগোল করা হয়েছে। এর কারণ ভারত একাত্তরে আমাদের
মিত্র দেশ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক, আশ্রয়দাতা ও রণাঙ্গনের সহযোদ্ধা। তাই পাকিস্তানী
প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে আগুন জ্বালিয়ে প্রমাণ করছে তারা বাংলাদেশ
মুছে দিতে চায়। এখন আমাদের প্রত্যয়, যে আগুন তারা জ্বালিয়েছে সে আগুনে তাদের পুড়িয়ে
আমরা ছারখার করবই। আমরা সজাগ ও সচেতন, কেউ যেন নাশকতা করতে না পরে।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে
দেশব্যাপী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির নাশকতা জানান দিচ্ছে, একটি অশনি সংকেত বাঙালি জাতির
ভাগ্যাকাশে উঁকি দিচ্ছে। এরা একাত্তরের মতই পবিত্র ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে
মানবতাবিরোধী যে অপকর্ম করেছে, একইভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা তার পুনরাবৃত্তি
ঘটাতে চায়।
“তাই ইসলামের হেফাজতের
নামে ধর্মীয় মুখোশে যে চক্রটির আবির্ভাব ঘটেছে, আসলে তারা ইসলাম নয়, হেফাজতে পাকিস্তান।
যেখানেই এই নব্য পাকিস্তানীদের দুর্গ এখনই তা চূর্ন করে দিতে হবে।”
রোববার নগরীর বহদ্দারহাট
ও অক্সিজেন মোড়ে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আরও দুটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য নগর কমিটির সহ-সভাপতি
নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চন্দন
কুমার ধর ও মশিউর রহমান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, নগর যুবলীগের
যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন নগর
কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল
ইসলাম ফারুক, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবদুল আহমদ, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, জহর লাল
হাজারী, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বেলাল আহমেদ,
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেবিএম শাহজাহান প্রমুখ।