করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ মার্চ থেকে টানা ১৪ দিন রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭৪ বছর বয়সী এ চিত্রপরিচালক।
শনিবার রাতে নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় রোববার তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হচ্ছে বলে তার ছেলে কাজী মারুফ জানান।
মারুফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার বাবার সঙ্গে তিনি এখনও হাসপাতালে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাবাকে নিয়ে তিনি বাসায় ফিরবেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় কাজী হায়াতকে কয়েকদিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেও (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
১০ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন কাজী হায়াৎ; পরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় ১৫ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
কাজী হায়াতের সঙ্গে তার স্ত্রী রোমিসা হায়াৎ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন; রোমিসা হায়াৎ সুস্থ হয়ে কয়েকদিন আগেই হাসপাতাল ছেড়েছেন।
১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন কাজী হায়াৎ; পরে আলমগীর কবিরের সাথে ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবিতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যামেরার পেছনে কাজ করেছেন তিনি।
১৯৭৯ সালে ‘দ্য ফাদার’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দাঙ্গা, ত্রাস, চাঁদাবাজ, আম্মাজান, ইতিহাস, কাবুলিওয়ালাসহ বেশ কয়েকটি দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এ পরিচালক।
পাশাপাশি অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে; লিখেছেন চিত্রনাট্য।