মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে শনিবার
বিকালে এ ঘটনা ঘটে
বলে সহকারি পুলিশ সুপুার দিপঙ্কর ঘোষ জানান।
নিহত রেদোয়ানার বাবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে স্বামী দেলোয়ার হোসেন ওরফে মিজান পলাতক রয়েছেন। দেলোয়ার সোশাল ইসলামী
ব্যাংকের ভোলা শাখায় কর্মরত রয়েছেন।
কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারি ব্যবস্থাপক
(অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, গত ২২ মার্চ সোমবার সকালে
প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রেদওয়ানা ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি হন।
সকাল ১০টায় অপারেশনের মধ্যেমে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শুক্রবার তাকে
ছাড়পত্র দেওয়া হলেও মেয়ে অসুস্থ্
থাকায় তিনি হাসপাতালের দোতলার ১১ নম্বর কেবিনে থেকে যান।
শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের তিনতলায় শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয়।
তিনি বলেন, “শনিবার বেলা ২টার দিকে রেদওয়ানা ইসলামের মামি খোদেজা বেগম ও শিশুটির পরিচর্যাকারী মর্জিনা বেগম মায়ের বুকের দুধ খাইয়ে শিশুটিকে আবার
তিনতলায় নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে গিয়ে রেদোয়ানার কেবিনের দরজার তালা আটকানো দেখেন।
“অনেক্ষণ ডাকাডাকির পরও
ভেতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় কর্তব্যরত নার্সকে তারা বিষয়টি জানান। পরে এক নার্স
অতিরিক্ত চাবি দিয়ে কেবিনের দরজা খুলে
ভেতরে ঢুকে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পান।”””
এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার
বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রেদোয়ানাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।