কোভ্যাক্সের টিকা
ক্রয় ও বিতরণে যুক্ত থাকা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে এ কথা
জানিয়েছেন।
ইমেইলে পাঠানো
প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, “সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি আস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহ
মে মাসের মধ্যে আবার আগের গতিতে ফিরবে। আর মাঝে বাদ পড়া চালানগুলোও পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করা হবে, যাতে সব দেশের প্রাপ্য ডোজ পূরণ করা যায়।”
ইউনিসেফের মুখপাত্র
বলেন, এপ্রিলেই যাতে কিছু সরবরাহ পাওয়া যায়, সেজন্য ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে
কোভ্যাক্স।
মার্চ এবং এপ্রিল
মাসে সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে কোভ্যাক্সের পাওয়ার কথা ছিল ৯ কোটি ডোজ টিকা, যার মধ্যে
হাতে পেয়েছে মাত্র ২ কোটি ৮০ লাখ ডোজ।
বিশ্বের সবচেয়ে
বড় টিকা উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া এ পর্যন্ত ৭৬টি দেশে মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ
ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রপ্তানি করেছে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের
প্রকোপ বাড়তে থাকায় নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস শুক্রবার বলেছেন, ভারতের এমন সিদ্ধান্তের
কারণ বোধগম্য, তবে অন্য দেশকে টিকা দেওয়ার জন্য সরবরাহ যাতে পাওয়া যায়, সেজন্য ভারতের
সঙ্গে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টিকার ন্যায্য
বণ্টন নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভির নেতৃত্বে কোভ্যাক্স নামের এই
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৬১টি দেশে ৩ কোটি ২০ লাখ মিলিয়ন ভ্যাকসিন
সরবরাহ করেছে কোভ্যাক্স। ৩৬টি দেশ এখনো ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় আছে।