প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা
রবীন্দ্রনাথ রায় রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।
সেখানে বলা হয়, এই সময়ে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার
লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করবে এবং অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও অব্যাহত
থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসন মেনে
চলার কথাও বলা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
“শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা
নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষকগণ তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীগণ যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই
অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিবাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে গত ২৫ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
মহামারীর শুরুতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী এবং কোনো ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি।
সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, আগমী রোজার ঈদের পর ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে। তার আগে সবাইকে টিকা দিয়ে খুলে দেওয়া হবে হল।
আর স্কুল-কলেজগুলো মার্চের শেষে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়
তা পিছিয়ে
দেওয়া হল।