হ্যামিল্টনে রোববার
বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ প্রথম ওভারে কেবল এক
রান দিয়ে নেন ফিন অ্যালেনের উইকেট। পরে থিতু হয়ে যাওয়া মার্টিন গাপটিলকেও ফেরান এই
বাঁহাতি স্পিনার।
কিন্তু অন্য বোলাররা
পারেননি নাসুমের সঙ্গে তাল মেলাতে। নিউ জিল্যান্ডের রান তাই ছাড়িয়ে যায় ২০০। পরে
ব্যাটসম্যানরাও পারেননি চ্যালেঞ্জ নিতে। ৮ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে দল।
লেগ স্পিনার ইশ সোধির দুই ওভারেই জোড়ায় জোড়ায় পড়ে চার উইকেট!
৬৬ রানের হারের পর
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বিশ্লেষণ করলেন দলের হার।
“আমার মনে হয়, আমাদের সুযোগ ছিল। শুরুতে আমরা দুটি উইকেট নিয়েছি, রান
রেট সাতের নীচে ছিল। কিন্তু ডেভন (কনওয়ে) যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সে খুব সাবলীল ছিল। সাম্প্রতিক ইনিংসগুলোয় ধারাবাহিকভাবে দারুণ খেলেছে সে।
আমাদের সুযোগ ছিল বাউন্ডারিতে, কিন্তু সেটি ছক্কা হয়ে যায়।
বোলাররা ভালো বোলিং করেছে, বোলারদের দোষ দিতে পারছি না।
ফিল্ডিংয়ে কিছু বাড়তি বাউন্ডারি হয়েছে আমাদের।”
“১৯০ রানের আশেপাশে হলে সেটি তাড়া
করে জেতা যেত। কিন্তু একসঙ্গে বেশি উইকেট হারানোর পর আর মাচ জেতা যায় না। আমরা
এটাই করছি, একই ভুল বারবার করে চলেছি।”
এমন হারের মধ্যেও
কিছুটা ইতিবাচক দিকও পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“একটা ইতিবাচক দিক আমি নিতে চাই,
‘ইন্টেন্ট’ ছিল আমাদের, যা
দেখতে পাওয়াটা ভালো ছিল। টি-টোয়েন্টিতে ১০০-১২০ রানে অল আউট হতেই পারেন। কিন্তু
অন্তত জয়ের তাড়না যদি দেখানো যায়, তাহলে সুযোগ থাকে।”
এই সিরিজে বাংলাদেশ
পাচ্ছে না সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি
মুশফিকুর রহিমও। অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিকে হারের দায় না দিয়ে তরুণদের জন্য বড় সুযোগ
বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ।
“আমার মনে হয় এটি তরুণদের জন্য
ভালো একটি সুযোগ, বিশেষ করে নাইম শেখ, আফিফ…
দুজন অভিষিক্ত ছিল আজকে তাদের জন্য। এটি তাদের জন্য সুযোগ বিশ্বকে
দেখানোর, তারা কতটা ভালো।”
“আমরা হয়তো সবসময় সব অভিজ্ঞ
ক্রিকেটারকে একসঙ্গে পাব না। এর সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কাউকে এগিয়ে আসতে
হবে এবং দেখাতে হবে যে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য তার আছে।”