মৌখিন নির্যাতন একজন মানুষকে হতাশাগ্রস্ত
করে তোলে, মানসিক অস্বস্তিতে নিমজ্জিত করে, আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আর এই সকল প্রভাব
থেকে যায় দীর্ঘসময়।
আর সেটা যদি হয় সঙ্গীর মাধ্যমে তাহলে
প্রতিক্রিয়া হয় আরও খারাপ।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন
অবলম্বনে জানানো হল মৌখিন নির্যাতন চিহ্নিত করার উপায়গুলো সম্পর্কে।
কথার ধরন: উচ্চস্বরে
কথা বলা মৌখিন নির্যাতনের চোখে পড়ার মতো লক্ষণ। তবে সঙ্গীর শারীরিক সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব
ইত্যাদি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য কোমল স্বরের হলেও তা মৌখিক নির্যাতন হওয়া সম্ভব। সঙ্গী
মিষ্টিস্বরে যদি আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তার কথা শুনে যদি আপনি মানসিকভাবে
বিপর্যস্ত হয়ে যান, তবে সেটাও মৌখিক নির্যাতন।
নিয়ন্ত্রণ ও দোষারোপ: আপনার ওপর সঙ্গীর কোনো আচরণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে
গিয়ে যদি দেখেন সেই আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে আপনাকেই ভুক্তভোগীতে পরিণত করেছে, তবে সেটাও
মৌখিক নির্যাতনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে তার ভুল আচরণের জন্য আপনাকেই দায়ী করবে
এবং আলোচনা শেষে আপনি বিশ্বাস করবেন যে ভুল আপনারই। এখানেই শেষ নয়, সেই অপরাধের মাশুল
হিসেবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেককিছু করতে আপনি বাধ্য হবেন।
আত্মবিশ্বাস হারানো: আপনার আত্মবিশ্বাসের কমতির পেছনে দায়ী হতে পারে সঙ্গীর অসহযোগিতামূলক আচরণ।
সঙ্গী যদি আপনাকে ছোট করে দেখে তবে আপনিও নিজেকে একসময় ছোট মনে করতে শুরু করবেন। আর
সেটাও এক ধরনের মৌখিক নির্যাতন। পাশাপাশি আপনার মনে যদি সবসময় কলহের আতঙ্ক থাকে তবে
সেটাও আপনাকে মানসিকভোবে কোণঠাসা করে তুলবে।
করণীয়
এমন পরিস্থিতিতে প্রথম পদক্ষেপ হবে পরিবার
ও বন্ধুমহলে কাছের মানুষগুলোর সাহায্য নেওয়া। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে এই মানুষগুলোর
সঙ্গে সময় কাটান যারা আপনার ভালো চান, আপনাকে ভালোবাসে।
সঙ্গী যদি দুর্ব্যবহার অব্যাহত রাখে তবে
একসময় আপনাকেও সংগ্রামী হতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে শক্ত হতে হবে। নিজের
আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে পেশাগত পরামর্শ নিতে হবে।
তবে কিছুতেই কিছু না হলে বিচ্ছেদের কথা
ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন
অকৃতজ্ঞ মানুষ চেনার উপায় ও তাদের সামলানোর পন্থা