দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক
সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী উপ-পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন জানিয়েছেন,
রোববার সকালে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুদক তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
দুপুরে কক্সবাজারের
বিশেষ জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতের হাজির করা হলে তাদের জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ
দেন তিনি।
গ্রেপ্তাররা হলেন কক্সবাজার
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর
জাবেদ মো. কায়সার নোবেল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম এবং কক্সবাজার
পৌরসভার কর্মচারী দিদারুল ইসলাম ওরফে মুবিন।
দুদক কর্মকর্তা মো.
শরীফ উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিককে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ বাংলাদেশের নাগরিক সাজিয়ে
পাসপোর্ট গ্রহণ করার জন্য সহায়তার অভিযোগে এই চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
“গ্রেপ্তার কাউন্সিলরদের
বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্ম সনদ
ও বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র প্রত্যায়নের মাধ্যমে পাসপোর্ট প্রদানের সহায়তার চেষ্টার অভিযোগ
রয়েছে।”
এছাড়া পৌর কর্মচারী
দিদারুল ইসলামের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানান শরীফ।
দুদক কর্মকর্তা আরও
বলেন, এই নিয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধান দল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল। পরবর্তীতে অভিযোগের
সত্যতা পাওয়ায় কক্সবাজার পৌরসভাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের
বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ দুদকে ১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে
রয়েছে চারটি মামলা।