ক্যাটাগরি

শিরোপা নয় বাংলাদেশ কোচের ভাবনায় পরীক্ষা-নিরীক্ষাই

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে ডের দল।

একটি করে জয় ও ড্রয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টানা দুই ড্রয়ে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে উঠে এসেছে নেপাল। দুই দল গত নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই প্রীতি ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম ম্যাচ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়েছিল গোলশূন্য ড্র।

অনেক দিন পর একটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সমানে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়েও ডে ভাবছেন আগামী জুনের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই নিয়ে।

“শিরোপা নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত নই। জিততে পারলে দারুণ হবে। সেটা যদি নাও হয়, যে লক্ষ্য নিয়ে নেপালে এসেছিলাম; সেটা পূরণ করার সন্তুষ্টি নিয়েই ফিরব।”

“ফাইনালের ফল নিয়ে না ভেবে আমি এখানে দলের সবাইকে সমান ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতে চাই, যেন তারা জুনের বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।”

ফাইনালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেপাল কোনো দল গোল পায়নি; গোল হজমও করেনি। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতেছিল প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে। গোলের সংকট কেবল বাংলাদেশ নয়, এশিয়ারই সমস্যা বলে মনে করেন ডে। তবে দুই ম্যাচে গোলের জন্য শিষ্যদের প্রচেষ্টায় খুশি এই ইংলিশ কোচ।

“আমি খুশি যে, শেষ দুই ম্যাচে একটি গোলও হজম করেনি দল। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, খেলোয়াড়দের মধ্যে চেষ্টার কমতি দেখিনি।”

আশরাফুল ইসলাম রানা ও মোহাম্মদ জুয়েল ছাড়া দলের সবাইকে গত দুই ম্যাচে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছেন কোচ। ফাইনাল সামনে রেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পাঠানো ভিডিও বার্তায় গোলরক্ষক রানা বলেন, সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে তারা।

“কাল আমাদের সামনে বড় একটা সুযোগ আছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। দীর্ঘদিন আমরা দেশের বাইরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। অবশ্যই আমরা চাই নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে।”

“খেলোয়াড়রা সবাই ভালো মুডে আছে। গত দুই ম্যাচে সবাই ভালো পারফরম্যান্স করেছে। আশা করি, তারা আগামীকাল সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে।”