শনিবার রাজ্যটির রাজধানী ও ভারতের বৃহত্তম শহর মুম্বাইয়ে একদিনে নতুন ছয় হাজার ১২৩ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত বছরের মার্চের পর ভারতের এ বাণিজ্যিক রাজধানী একদিনে আর এত কোভিড-১৯ রোগী দেখেনি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“আমরা এখন বস্তির তুলনায় বড় বড় আবাসিক ভবনে কোভিড আক্রান্তের হার বেশি দেখছি। সংক্রমণের বিস্তার রোধে কেবল প্রয়োজনীয় সেবাগুলো চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে,” বলেছেন মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোর পেডনেকার।
শহরের হোটেল, পাব ও শপিং মলগুলোকে রাত্রিকালীন কারফিউর নীতিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার সকালে জানিয়েছে, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬২ হাজার ৭১৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত বছরের মধ্য অক্টোবরের পর এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক শনাক্ত।
দেশটিতে একদিনে কোভিড-১৯ এ আরও ৩১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়; ২৪ ঘণ্টায় এতো মৃত্যু বড়দিনের (২৫ ডিসেম্বর) পর আর দেখা যায়নি।
মুম্বাইয়ের বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল জানিয়েছে, রোগীর চাপে তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে।
ভারতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে মহারাষ্ট্র এগিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে কেরালা, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট, তামিল নাডু, হরিয়ানা ও মধ্য প্রদেশেও দৈনিক শনাক্ত বাড়ছে।
দেশটির অনেক নাগরিকই এখন বিদেশে টিকা রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ভারত এখন পর্যন্ত চার কোটির সামান্য বেশি নাগরিককে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দিতে পেরেছে; ১৩৫ কোটি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত দেশটিতে টিকা গ্রহিতার এ হার ৪ শতাংশেরও কম।
ভারত এরই মধ্যে বিশ্বের ৭৭টি দেশে অনুদান কিংবা বাণিজ্যিকভাবে ৬ কোটি ১০ লাখ টিকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
নয়া দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভারতের সরকার এখন অভ্যন্তরীণ টিকাদান কর্মসূচির দিকে মনোযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই টিকা রপ্তানির আওতা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
“টিকাদানের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশজুড়ে শনাক্তকরণ পরীক্ষা, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজ এবং আইসোলেশন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে,” বলেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এস কে সিনহা।