সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জে মহাসড়ক
অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে হেফাজতের কর্মীরা, তবে রাজধানীতে বড় কোনো গোলযোগের খবর
পাওয়া যায়নি।
নিরাপত্তার কারণে রোববার
সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত
গাড়ির সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর
দিনে গত শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় ঢাকা,
চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে প্রাণহানির প্রতিবাদে রোববার সারা
দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের এই কর্মসূচি দেয় হেফাজতে ইসলাম।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এ সংগঠনের
নেতাকর্মীরা সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে এবং
রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
হরতালের সকালে রাজধানীতেও
কয়েকটি জায়গায় পিকেটিংয়ের চেষ্টা হয়েছে, তবে বেলা ১০টা পর্যন্ত বড় কোনো সংঘাতের খবর
আসেনি।
যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসার
এসআই তাপস পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কুতুবখালি বড় মসজিদে হরতালের পক্ষে
জমায়েত হয়েছিল একদল লোক। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সায়েদাবাদ বাস
টার্মিনালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, সেখানে কোনো সমস্যা নেই।
একই কথা বলেছে দারুস সালাম
ও বনানী থানা পুলিশ।
দারুস সালাম থানার পরিদর্শক
(অপারেশনস) কামরুল হুসেইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ি
চলাচল করছে। কোনো সমস্যা নেই।”
আর বনানী থানার এএসআই কলিম
উদ্দিন বলেন, “আমাদের এদিকে কোনো সমস্যার খবর পাওয়া যায়নি। মহাখালী/বনানী এলাকা দিয়ে
যথারীতি গাড়ি চলাচল করছে।”
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার
এসঅই জয়দেব জয়ধর বলেন, মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাস চলছে। সেখানে কোনো পিকেটিং হয়নি।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ডিউটি
অফিসার এসআই রিয়াজ মাহমুদ জানান, সকাল থেকে সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। হরতালের
কোনো প্রভাব সেখানে নেই।
নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ
সফরের বিরোধিতায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে
থানা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা করলে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুপুর
থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে রেলওয়ে স্টেশনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে কওমি
মাদ্রাসার ছাত্ররা।
আর রাজধানীতে মোদীবিরোধীরা
সংঘাতে জড়িয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়দের আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে, তাতে আহত হয়েছেন অন্তত
৬০ জন।
এর ধারাবাহিকতায় শনিবারও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্ররা পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে অন্তত ৫ জন নিহত
হন।
হেফাজতের এই হরতালে বিএনপি
আনুষ্ঠানিক সমর্থন না দিলেও সংঘর্ষে প্রাণহানির প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
করেছে। সোমবার ঢাকাসহ সকল মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং মঙ্গলবার জেলা সদরে
বিক্ষোভ মিছিল অথবা সমাবেশের করবে দলটি।