প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই হ্যামিল্টনে রোববার নাসুমকে দেওয়া হয় প্রথম ওভারে
বোলিংয়ের গুরুদায়িত্ব। ভড়কে না গিয়ে শুরুটা দারুণ করেন ২৬ বছর বয়সী স্পিনার। মার্টিন
গাপটিলের মতো ব্যাটসম্যানকে আটকে রাখেন ক্রিজে, প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পান ফিন
অ্যালেনকে বোল্ড করে।
পাওয়ার প্লের পর তিনি বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ফিরিয়ে দেন গাপটিলকেও। সব মিলিয়ে
অভিষেক ম্যাচে তার বোলিং বিশ্লেষণ ৪ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট।
যে কোনো মানদণ্ডেই বেশ ভালো বোলিং এটি। আর প্রতিপক্ষের রান যেখানে ২১০, দলের
অন্য কোনো বোলার ওভারপ্রতি ৯ রানের কম দিতে পারেননি, সেখানে নাসুমের এই বোলিং তো দুর্দান্ত।
কিন্তু নিজেকে তিনি সন্তুষ্ট করতে পারেননি, বিসিবির ভিডিও বার্তায় বললেন নাসুম।
“৪ ওভারে ৩০ রান দিয়েছি। এখানে ৪ ওভারে যদি ২২ বা ২৫ রান হতো, তাহলে মনে করতাম
সফল। আসলে আমি খুশি নই। সফল মনে করি না। যদি আরও ১০ রান কম দিতাম, হয়তো আরেকটু ভালো
হতো। সফল আমি মনে করছি না।”
৩০ রানের জায়গায় নাসুমের দেওয়া রান হতে পারত ২৪, উইকেট থাকতে পারত একটি বেশি,
যদি ডেভন কনওয়ের ক্যাচটি ঠিকমতো নিতে পারতেন শরিফুল ইসলাম। নাসুমের শেষ ওভারে উঁচিয়ে
মারেন কনওয়ে, সীমানা ঘেঁষে বল হাতে জমান শরিফুল। পেছন ফিরে তাকিয়ে তিনি হাত দিয়ে ইশারা
দিয়ে দেখান ‘আউট।’
সিদ্ধান্ত যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠের আম্পায়ারের সফট সিগনালও ছিল আউট।
টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার রায় দেন, শরিফুলের পায়ের পেছনে অংশ স্পর্শ করেছে সীমানা।
ক্যাচটি হলে কনওয়ে আউট হতেন ৩৭ বলে ৪৭ রান করে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত
থাকেন শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৯২ রান করে।
নাসুমের কণ্ঠে আক্ষেপ শোনা গেল কনওয়ে ওই সময় আউট না হওয়ায়।
“আমার কাছে মনে হয়েছে, ওটা একটা ক্যাচ। ওই সময় কনওয়ের রান ৪৭ ছিল। এরপর সে
শেষ করেছে ৯২ রানে। ওই ক্যাচটা হলে হয়তো আরও ২০টা রান কম থাকত। ওই জায়গায় আমরা একটু
পিছিয়ে গেছি।”
নাসুম আরও ভালো বোলিং করার, নিজেকে খুশি করার আরেকটি সুযোগ পাবেন মঙ্গলবার।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেপিয়ারে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড। খেলা
শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়।