বিবিসি
জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার প্রথম প্রহরে জাকার্তা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ওই তেল
শোধনাগারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করেন, কিন্তু ১২
ঘণ্টা পরেও তারা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
এ ঘটনায়
অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, প্রায় ৯৫০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকজন
নিখোঁজ রয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩৪০
হেক্টর জমির ওপর ওই রিফাইনারিতে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ব্যারেল তেল শোধন করা
হয়। রিফাইনারির দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি‘পেরতামিনা’ বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ
এখনও তারা জানতে পারেনি।
বিবিসি
ইন্দোনেশিয়ার সাংবাদিক জেরোম বিরাভান বলেন, পশ্চিম জাভার ওই তেল শোধনাগার সোমবার ভোরেও
দাউদাউ করে জ্বলছিল। আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে ওঠার ছবি আর ভিডিও আসছিল সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
স্থানীয়
এক বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে তিনি তেল পোড়ার কড়া
গন্ধ পান, তা এতটাই কড়া যে নাকে জ্বালা ধরানোর মত। ওই সময়ই বজ্রপাতের মত শব্দও পান
তারা।
পারতামিনা
জানিয়েছে, এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তারা সবাই ওই এলাকায় থাকতেন
কিংবা শোধনাগারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আগুনের কবলে পড়েন।
বিবিসি
লিখেছে, বালোনগান রিফাইনারি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারগুলোর একটি। তাছাড়া
এখান থেকেই বৃহত্তর জাকার্তার তেল সরবরাহ হয় বলে এর গুরুত্ব আরও বেশি।
এই অগ্নি
দুর্ঘটনার ফলে স্থানীয় প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল ব্যবসায় কতটা বিরূপ প্রভাব পড়বে, সেই
আলোচনা এখন চলছে। তবে পেরতামিনা আশ্বাস দিয়েছে, বালোনগান রিফাইনারির ঘটনায় তেল সরবরাহে
কোনো ঘাটতি হবে না।
এএ/জেকে