ক্যাটাগরি

এভাবে দেশ চলতে পারে না: ফখরুল

সোমবার
দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, “এভাবে কখনো একটা দেশ চলতে পারে না।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আজকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করে, চুরমার করে, ভুলণ্ঠিত
করে দিয়ে কখনো বাংলাদেশে সরকার টিকে থাকতে পারবে না, তাদেরকে অবশ্যই চলে যেতে
হবে।”

ভারতীয়
প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে সংঘাত ও
প্রাণহানির জন্য সরকারকে দায়ী করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি
বলেন, “এই সরকার স্বাধীনতার রক্ষাকবজগুলোকে সম্পূর্ণ ধূলিসাত করে দিয়েছে। গত তিন
দিনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, যে প্রাণ
গেছে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে তারা দায়ী। এই সরকারকে অবশ্যই জনগণের কাছে এর জবাব
দিতে হবে।”

সরকারের
উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে
ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন দিন।

 “অন্যথায়
অতীতে স্বৈরাচার সরকারের যে পরিণতি হয়েছে, আপনাদেরও সেভাবে বিদায় নিতে হবে। আসুন
আজকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, আসুন আমরা ঐক্য গড়ে তুলি, জনগণের ঐক্য গড়ে তুলি।”

সরকার
দেশের সংসদকে ‘পরিকল্পিতভাবে একটি রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্টে’ পরিণত করার
পাশাপাশি প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘দলীয়করণ’ করেছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।

তিনি
বলেন, “এই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে
চলেছে, এই সরকারকে অবশ্যই চলে যেতে হবে।”

 বিএনপির
নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

 বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগ বলছে, এই যে কী হচ্ছে ঢাকা
শহরে, বাংলাদেশে- বিএনপি নাকি ইন্ধন দিচ্ছে।

 “আমরা
স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বিএনপি নিজের আন্দোলনে বিশ্বাসী, কাউকে প্ররোচনা দেওয়ায় বিশ্বাসী
না। বরং আওয়ামী লীগ প্ররোচনা দিচ্ছে এবং বিএনপিকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।”

জাতীয়
প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ঢাকা ছাড়াও
সকল মহানগরীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। মঙ্গলবার সব জেলা সদরে
বিক্ষোভ সমাবেশেরও কর্মসূচি রয়েছে তাদের।

মহানগর
উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে কাজী আবুল বাশার ও
আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম,
হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক
মিলন,শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর
সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, ইশরাক
হোসেন, মহানগর বিএনপির হাবিবুর রশীদ হাবিব, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান
সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া
জুয়েল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন
শ্যামল, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিমসহ মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেন।

 বিএনপির
আমিনুল হক, রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শামীমুর রহমান, মীর নেওয়াজ
আলী, আমিরুজ্জামান শিমুল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, মোরতাজুল করীম বাদরু,
মামুন হাসান, নবী উল্লাহ নবী, তানভীন আহমেদ রবিন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।