ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে
সিরিজের শেষ ম্যাচে রোববার যখন উইকেটে যান কারান, ম্যাচ থেকে তখন এরকম ছিটকেই গেছে
ইংল্যান্ড। ৩৩০ রান তাড়ায় ইংলিশদের রান তখন ৬ উইকেট ১৬৮। সেখান থেকেই শুরুতে মইন আলি,
পরে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে প্রায় অবিশ্বাস্য এক জয়ের আশা দলকে দেখান কারান।
শেষ ৪ ওভারে যখন প্রয়োজন
৪১ রান, শার্দুল ঠাকুরের এক ওভারে এক ছক্কা ও দুই চারসহ ১৮ রান নিয়ে সমীকরণ নাগালে
আনেন কারান। কিন্তু পরের ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার দেন মাত্র ৪ রান, ৪৯তম ওভারে হার্দিক
পান্ডিয়া ৫ রান।
শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে
১৪ রানের। বাঁহাতি পেসার থাঙ্গারাসু নাটরাজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পেরে ওঠেননি কারান।
একটি চার মারলেও পারেননি আর বড় শট খেলতে।
৭ রানের পরাজয়ে ইংল্যান্ড
হেরে যায় সিরিজ। কারান অপরাজিত থাকেন ৮৩ বলে ৯৫ রান করে।
আট নম্বরে নেমে ওয়ানডেতে
সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড এটি। কারান স্পর্শ করেন সতীর্থ ক্রিস ওকসের রেকর্ড। ২০১৬
সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে ইনিংসটি খেলেছিলেন ওকস।
ম্যাচ শেষে কারানের
প্রতিক্রিয়া থাকল হর্ষবিষাদের মিশেল। কৃতিত্ব দিলেন প্রতিপক্ষ বোলারকেও।
“ যেভাবে খেলেছি, তাতে
আমি খুশি। তবে ম্যাচ জিততে পারিনি আমরা। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন কিছু করতে পারছিলাম না
আমি, বিশেষ করে ইংল্যান্ডের হয়ে। সেদিক থেকে ভালো লাগছে। তবে শেষটা যেভাবে হলো, তাতে
ভীষণ হতাশ।”
“ ডাগ-আউট থেকে বেশকিছু
বার্তা পেয়েছিলাম, স্ট্রাইক ধরে রাখতে এবং খেলাটা শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে। কৃতিত্ব নাটরাজনের,
ছয়টি ডেলিভারি করার ছিল তার এবং দেখিয়েছে, কেন সে ভালো বোলার। আমার জন্য এই ম্যাচ অনেক
বড় শিক্ষা, তবে শেষটা নিয়ে অবশ্যই হতাশ।”
কারানের পারফরম্যান্সে
দারুণ খুশি জস বাটলার। ওয়েন মর্গ্যানের চোটে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া এই কিপার-ব্যাটসম্যান
কারানের এই ইনিংসে দেখছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির ছায়া।
“ আমি নিশ্চিত, আজকের
ইনিংসটি নিয়ে ধোনির সঙ্গে কথা বলতে চাইবে স্যাম। এই পরিস্থিতিতে ধোনি যেভাবে ম্যাচ
টেনে নিয়ে যেত, সেটির ছাপ দেখা গেছে স্যামের ব্যাটিংয়ে। ধোনির সঙ্গে যখন দেখা হবে স্যামের,
এই ইনিংস নিয়ে কথা বলার জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত লোক আর নেই।”
ধোনির সঙ্গে সেই আলেচনা
শিগগিরই হয়ে যাওয়ার কথা কারানের। আইপিএলে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেন এই ইংলিশ
ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষেই তিনি যোগ দিচ্ছেন আইপিএল দলে।