সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশের লাঠিচার্জে নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুসহ নয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর বিএনপির নেতারা।
তবে পুলিশ দাবি করছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি, শুধু ধাওয়া দেওয়া হয়েছে। ধাওয়া খেয়ে কার্যালয়ে উঠতে গিয়ে অনেকে পড়ে আহত হয়েছেন।
খুলনা সদর থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, অনুমতি না নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে কার্যালয়ের ভেতর সমাবেশ করার কথা বলা হয়।
“কার্যালয়ে ওঠার সময় নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।”
ওসি বলেন, এ সময় তড়িঘড়ি করে ছোট সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যখন নেতাকর্মীরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় তিনিসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে পুলিশ তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে।
পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত লাঠিচার্জ করলে নগর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুসহ নয়জন নেতাকর্মী আহত হন।