ক্যাটাগরি

গড়িমসির অভ্যাস ত্যাগ করতে করণীয়

মনযোগ দিয়ে করলে অল্প সময়ে সহজেই যে জরুরি
কাজটি শেষ করে ফেলা সম্ভব, সেটা না করে বিভিন্ন দিকে সময় নষ্ট করার অভ্যাসটা অনেকের
মাঝেই দেখা যায়।

ফলে সময়ের কাজ সময়ে হয় না। অন্য কাজের
ক্ষতি হয়। আর সবকিছুতেই তাড়াহুড়া বাঁধে অথবা কাজের প্রতিশ্রুত ভঙ্গ হয়।

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো এই বদভ্যাস দূর করা উপায়। 

গড়িমসির এই অভ্যাস যাদের আছে তাদের বড়
সমস্যা হল, মনযোগ অল্পতেই ভঙ্গ হয়। সামান্য কাজের চাপেই তারা ঘাবড়ে যান।

ভারতীয় মনবিজ্ঞানী জানপ্রিত আনান্দ বলেন,
“গড়িমসি আর আলসেমি এক নয়। গড়িমড়ির অভ্যাস মূলত মানসিক বাধাগ্রস্ততা, যাকে কৌশলে সামালাতে
হয়। এই মানুষগুলো জীবনে যা কিছু অর্জন করেছেন তাকে মূল্যায়ন করতে পারেন না। বরং যা
কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন সেটা নিয়ে তাদের দিনভর আফসোস থাকে।” 

প্রিয় কোনো কাজের সঙ্গে মেলানো: প্রতিটি মানুষের কিছু প্রিয় কাজ থাকে যা তারা যেকোনো সময় করতে
ইচ্ছুক। যে কাজে গড়িমসি ভাব আনে সেটার সঙ্গে প্রিয় কাজগুলো জুড়ে দিলে দুটোই সমানতালে
হওয়া সম্ভব, ঢিলেমিও দূর করা সম্ভব।

যেমন, আপনি গান শুনতে পছন্দ করেন কিন্তু
সংসারের বাজার করতে গড়িমসি কাজ করে। তবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে বাজার করার দিনটিতে
শুধু বাজারে গিয়েই আপনি গান শুনবেন, ঘরে বসে না। সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারলে গান শোনার
টানেই সময়মতো বাজারে যাওয়া হবে।

তাৎক্ষণিক ফলাফল: ব্যায়াম করা, সবচাইতে বেশি গড়িমসির কারণে না হওয়া কাজগুলোর মধ্যে প্রথমসারিতে
রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে এই কাজের কথাই ধরা যাক।

ব্যায়ামের গড়িমসি তাড়াতে প্রথম কাজ হবে
এমন কাউকে সঙ্গী করা যার সঙ্গে গল্প করতে আপনি পছন্দ করেন। ফলে আপনি যদি ব্যায়াম করতে
না যান তবে সেই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে গল্প করা হবে না, যা আপনার মন খারাপের কারণ হবে।
আর সেই মন খারাপ এড়াতে এবং আড্ডার লোভেই ব্যায়াম করতে ছুটে যাবেন সময় মতো। 

পরিকল্পনা:
একদিনে কোনো অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব নয়। আর তা করার জন্য মনের বিরুদ্ধে নেওয়া কোনো
সিদ্ধান্ত পরে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই লক্ষ্য স্থির করার পর তা অর্জনের ধাপগুলো ছোট
ছোট খণ্ডে ভেঙে নিতে হবে। এবার সেই খণ্ড কাজগুলো সময় মতো করে যেতে পারলেই একসময় লক্ষ্য
অর্জন হবে। 

লক্ষ্য হতে হবে বাস্তবমুখী: গড়িমসি দূর করার ক্ষেত্রে এই ধাপ গুরুত্বপূর্ণ। কাজে ঢিলেমি আসার
বড় কারণ হল তাতে অনুপ্রেরণা না থাকা কিংবা কাজের পরিমাণ বুঝে ঘাবড়ে যাওয়া।

এমনটা যাতে না হয় সেজন্য লক্ষ্য মাত্রা
হওয়া উচিত যা বাস্তবে অর্জন করা সম্ভব। স্বপ্ন আপনার বড় হতে পারে, তবে সেই স্বপ্নকেই
ধরে না রেখে বরং একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কতটুকু অগ্রসর
হওয়া সম্ভব সেটাই আপনার লক্ষ্য বানান।

প্রতিশ্রুতবদ্ধতা: শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজও করতে হবে। সিদ্ধান্তগুলোতে
স্থির থাকতে হবে। মাঝপথে এসে লক্ষ্যচ্যুত হওয়া যাবে না।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন

আলসেমি দূর করার উপায়
 

জড়তা কাটানোর অভিনব উপায়
 

শরীরচর্চার অভ্যাস ফেরাতে করণীয়
 

কালক্ষেপন দূর করার উপায়