গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণ টিকাদান শুরু করে সরকার। এর আগে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ শতাধিক মানুষকে এই টিকা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এমআইএস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সোমবার সারাদেশে ৫৬ হাজার ৪৩১ জন মানুষ টিকা নিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৩১ জনের মাঝে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে তাদের কী কী উপসর্গ দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
করোনাভাইরাসের টিকাদানের যে জাতীয় পরিকল্পনা সরকার করেছে, তাতে সারা দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা।
সোমবার ঢাকা মহানগরে ৪৭টি হাসপাতাল ও টিকা কেন্দ্রে মোট ৬ হাজার ৩৯৪ জন টিকা নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ১০৯০ জন কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৪৭৯ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৬ হাজার ৩৬ জন, চট্টগ্রামে ৯ হাজার ৭৮০ জন, রাজশাহীতে ৯ হাজার ৫০৯ জন, রংপুরে ৫ হাজার ৯২ জন, খুলনায় ৭ হাজার ৪৯৮ জন, বরিশালে ১ হাজার ৫১৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ হাজার ৫২১ জন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।
ঢাকাসহ সারা দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এ টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হবে সবাইকে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, আগামী ৮ এপ্রিল থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।