ক্যাটাগরি

তাণ্ডবে বিএনপি `জড়িত’, দিবালোকের মত স্পষ্ট: কাদের

সোমবার
ঢায় নিজের সরকারি বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে যুক্ত
হয়ে এ বিষয়ে কথা
বলেন তিনি। 

ওবায়দুল
কাদের বলেন, “জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি বিএনপি আবারও শুরু করছে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উপর ভর করে। দেশে
যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেজন্য বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উসকে দিচ্ছে।

“দেশের
বিভিন্ন স্থানে উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর তাণ্ডবলীলায় যে বিএনপি জড়িত,
তা দিবালোকের মত পরিষ্কার।”

স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার এই সফরের বিরোধিতা
করে আসছিল হেফজতে ইসলামসহ কয়েকটি সংগঠন ও রাজনৈতিক দল।

সেদিন
দুপুরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ ও সরকারি দলের
কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় একদল লোক। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা থানা ও বিভিন্ন সরকারি
স্থাপনায় হামলা করলে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শহরে শুক্র থেকে রবি- তিন দিন ব্যাপক তাণ্ডব চালায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা। তারা রেলওয়ে স্টেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে।
আইনশঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের সঙ্গে
সংঘাতে তিন দিনে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়। 

রোববার
হেফাজতের ডাকে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা হয়।

ওবায়দুল
কাদের বলেন, এসব ‘দেশবিরোধী’ কর্মকাণ্ড রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগ ও সরকার প্রস্তুত
আছে।

“দলীয়
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অপতৎপরতা রুখতে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি নেতাদের থলের বেড়াল বের হতে চলছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গত ২/৩
দিনের তাণ্ডব তাদের উসকানি দেওয়ার তথ্য প্রমাণ পেয়েছে।

“বিএনপি
তাদের কর্মীদের বাস পোড়ানোর নির্দেশ দিয়ে দেশের সম্পদ বিনষ্টে অতীত ধারাবাহিকতার প্রমাণ দিয়েছে। হত্যা, সন্ত্রাস আর আগুন সংস্কৃতি
বিএনপির অপরাজনীতির কৌশল, তা আবারও প্রমাণ
হয়েছে।”