মূল নায়ক এখানে ওটাগোর ২৫ বছর বয়সী পেসার রাই। পার্শ্বনায়ক তার সতীর্থ ফিলিপস। ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে রোববার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন দুজন মিলে।
সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ইনিংসের ৯২তম ওভার সেটি। রাইয়ের হ্যাটট্রিক শুরু প্রতিপক্ষ কিপার-ব্যাটসম্যান ডেন ক্লিভারকে বিদায় করে। ৯৯ রান করে বেচারা ধরা পড়েন শর্ট লেগে ফিলিপসের হাতে। পরের দুই বলে ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
জশ ক্লার্কসন ও ব্লেয়ার টিকনার, টানা দুই বলে দুজনই ধরা পড়েন শর্ট লেগে ফিলিপসের হাতে। বাঁধনহারা উল্লাসে ভেসে যান রাই। সতীর্থরা কেউ কেউ উদযাপনে মেতে ওঠেন রাইকে নিয়ে, কেউ ফিলিপসকে ঘিরে।
নিউ জিল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ৪৯তম হ্যাটট্রিক, তবে বোলার-ফিল্ডার হ্যাটট্রিক এটিই প্রথম!
বিশ্ব ক্রিকেটে এটির নজির খুব বেশি নেই। ক্রিকেটের আগের যুগের অনেক রেকর্ড নেই বলে সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে ইংল্যান্ডের রেকর্ড থেকে ধারণা করা যেতে পারে এটি কতটা বিরল। ২০১৮ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে সমারসেটের পেসার ক্রেইগ ওভারটনের টানা তিন বলে ক্যাচ নিয়েছিলেন মার্কাস ট্রেসকোথিক। ইংলিশ ক্রিকেটে সেটি ছিল ১০৪ বছরের মধ্যে প্রথম বোল্ডার-ফিল্ডার হ্যাটট্রিক!
রাই-ফিলিপসের যুগলবন্দি শেষ হয়নি হ্যাটট্রিকেই। পরে রাইয়ের বলে জেডন লেনক্স ধরা পড়েন ফিলিপসের হাতে।
এই হ্যাটট্রিক নিয়ে পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মজা করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান রাই।
“এই ধরনের কিছু করার জন্যই তো আমরা কন্ডিশনিং সেশনগুলো করি… (হাসি)! সত্যি বলতে, অবিশ্বাস্য কয়েক মিনিট ছিল সেটি, প্রতিটি উইকেট যেন ছিল ঠিক আগেরটির রিপ্লে।”
হ্যাটট্রিকের ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩ উইকেট নিয়ে রাই বড় অবদান রাখেন ওটাগোর ৬৬ রানের জয়ে। স্মরণীয় এই ম্যাচে তিনি পেরিয়ে যান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একশ উইকেটও।