ক্যাটাগরি

বুধবারের ভোট হচ্ছে, ১১ এপ্রিলের সিদ্ধান্ত পরদিন

তবে ১১ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও একটি সংসদীয়
আসনের নির্ধারিত নির্বাচন হবে কি না তা বৃহস্পতিবার জানা যাবে। 

সোমবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে
নির্বাচন কমিশনের এক জরুরি বৈঠকের পর অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ একথা জানান।

অনির্ধারিত এ বৈঠকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ৩১
মার্চ ও ১১ এপ্রিলের ভোটগুলো হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়।

এর মধ্যে বুধবার যশোর সদর ও মাদারীপুরের কালকিনি
পৌরসভায় সব পদে এবং ঠাকুরগাঁও সদর ও চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় একটি করে সাধারণ
ওয়ার্ডে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

অশোক কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবারের
যেসব নির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলো অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

“তবে ১১ এপ্রিল ইউপি, পৌর ও সংসদের উপ নির্বাচনের
বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও ১ এপ্রিল কমিশন সভার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

প্রথম ধাপে ১৯ জেলার ৬৪ উপজেলার ৩৭১ ইউপি, ষষ্ঠ
ধাপের ১১ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থীরা এখন প্রচারে
রয়েছেন।

কিন্তু এর মধ্যে মহামারীর নতুন ধাক্কা আসার পর সামাজিক,
রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা
জারি করেছে সরকার।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ
ধরা পড়ে। গত ৩০ নভেম্বরের পর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে
থাকে।

মহামারী: জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ ১৮ নির্দেশনা

প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউপিতে ভোট ১১ এপ্রিল
 

কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী, মৃত্যুর
সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক দিনে ৫ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা মহামারী
শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ।

তাতে দেশে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে
গেছে; মৃত্যু হয়েছে মোট ৮ হাজার ৯৪৯ জনের।

সোমবারই দেশের ২৯টি জেলাকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের
হার বিবেচনায় ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকা, চট্টগ্রাম,
নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী ও চাঁদপুর রয়েছে এই ২৯ জেলার মধ্যে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর গেল বছর সংসদীয়
আসনের উপ নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করেছে ইসি।

স্থানীয় সরকারের ভোটও স্থগিত রেখেছিল। পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হওয়ার পর নভেম্বর থেকে স্থানীয় সরকারের ভোট শুরু হয়।

মহামারীর এক বছর পার করতেই ফের সংক্রমণ বাড়ায়
নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ইসি কর্মকর্তারা।