সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, “কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উদযাপন করা হবে।
“চারুকলা অনুষদ চত্বরে ১০০ জনের একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদ চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।”
মঙ্গল শোভাযাত্রাটি টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মেলা বা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো যাবে না।
১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানা দিক তুলে ধরে মানুষের অনাবিল সুখ-সমৃদ্ধি ও মঙ্গলালোক কামনা করে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর পহেলা বৈশাখে কোনো আয়োজনই হয়নি। বর্ষবরণের বাজেটের টাকা আর্তমানবতার সেবার খরচ করা হয়।