মঙ্গলবার
দুপুরে উপজেলা সদরের দয়ারঘাট, দক্ষিণপাড়া আশাশুনি, জেলেখালি, গাছতলা গ্রামের ঘরবাড়ি
ও ফসলি জমি ও মাছের ঘেরে লোনা পানি ঢুকে পড়েছে।
আশাশুনি
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান অসীম কুমার চক্রবর্তী বলেন, খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের
পানিতে জেলেখালি-দয়ারঘাট রিংবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এতে এলাকার মৎস্য ঘের, ঘর-বাড়ি
নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
তিনি
জানান, কয়েকমাস আগে বাঁধটি দেওয়া হয়। সুপার সাইক্লোন আম্পানে আশাশুনির দশটি পয়েন্টে
বাঁধ ভেঙে যায়, যার মধ্যে এই দয়ারঘাটও ছিল। তখন ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষয়ক্ষতি
ঠেকাতে বিকল্প রিংবাঁধ দেওয়া হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এলাকার মানুষের দুর্দশা
বাড়তে শুরু করেছে।
আশাশুনি
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন জানান, খোলপেটুয়া নদীর দয়ারঘাট এলাকার
বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। দুপুরে প্রবল জোয়ারের তোড়ে তা ভেঙে
জেলেখালি, দয়ারঘাট ও উপজেলা সদরের দক্ষিণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে শতাধিক বাড়ি এবং অর্ধশতাধিক
মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও
জানান, বিকালে ভাটা শুরু হলে স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ বাঁধার কাজ শুরু
করা হবে। মৎস্য চাষ এই এলাকার প্রধান পেশা। আগের রেশ কেটে মানুষ মৎস্য ঘেরে নতুন উদ্যামে
মাছ ছেড়েছিল। এখন তা প্রায় ধরার মত হয়েছে। এর মধ্যে এই ঘটনা।
স্থানীয়
ঢালী মো. সামছুল আলম বলেন, “আমরা চাই এ স্থানটি যাতে স্থায়ীভাবে বেঁধে মানুষের ভোগান্তি
কমে তার ব্যবস্থা করা হয়।”
পানি উন্নয়ন
বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, পাউবোর কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতি
নিরুপন করছে। রাতের মধ্যেই বাঁধ বেঁধে ফেলা যাবে বলে আশা করা যায়।