মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৪ নম্বর লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিম লেদা এলাকায় এই আগুন লাগানোর চেষ্টার হয় বলে কক্সবাজারস্থ ১৬ এপিবিএন-এর অধিনায়ক এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আটক রকিমা খাতুন (৫০) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের বি-ব্লকের ১০৫৩ নম্বর শেডের বাসিন্দা আব্দুল গফুরের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসপি তারিকুল বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এজাহার মিয়ার বাড়িতে এক নারী কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় এজাহার মিয়ার ছেলে ঘটনাটি দেখতে পেলে ওই নারী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে কেরোসিনের জারসহ তাকে ধরে ফেলে।
“ঘটনাটি তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা এপিবিএন সদস্যদের অবহিত করে। খবর পেয়ে এপিবিএন এর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কেরোসিনের জারসহ ওই নারীকে আটক করে।”
এ অধিনায়ক বলেন, “এজাহার মিয়ার বাড়ীটি বাঁশ-গাছের তৈরি কাঁচাঘর। আগুন লাগানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে ফেলায় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অন্যথায় আগুন স্থানীয়দের বসতঘরসহ পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।”
আগুন লাগানোর চেষ্টার ঘটনায় আটক নারীর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এপিবিএন এর অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম।
এর আগে গত শনিবার রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অজ্ঞাত এক দুর্বৃত্ত আগুন লাগানোর চেষ্টা চালিয়েছিল।
২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, তা পাশের ৯ , ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু এবং অনেকে আহত হয়।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গার বসতি এবং অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ। এছাড়া স্থানীয়দের দুই শতাধিক বসতঘর ও দোকানসহ নানা স্থাপনাও আগুনে ভস্মিভূত হয়।