গুলশানে চেয়ারপারসনের
কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আজকে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে,
ভয়ংকরভাবে বাড়ছে। গতকালই দেখলাম স্বাস্থ্য বিভাগ একটা ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে,
কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের যে উদ্যোগ সেটা কখনই লক্ষ্য করা যায়নি।
“বাংলাদেশে সবসময় একটা
মিথ্যা প্রচারণা করা হচ্ছে যে, এখানে খুব চমৎকারভাবে সরকার করোনা সমস্যার সমাধান করছে,
তারা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছে, যেটা একেবারেই মিথ্যা কথা।”
মির্জা ফখরুল বলেন,
“স্বাস্থ্য বিভাগ ১৮ দফা দিয়েছে পালন করার জন্য।সরকারের উদ্যোগটা কোথায়? টোটাল হেলথ
মিনিস্ট্রি থেকে শুধু না, সরকারের পক্ষ থেকে যে দৃশ্যমান একটা ক্যাম্পিং থাকবে, প্রচার
থাকবে, উদ্যোগ থাকবে, সেটা কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
“তারা (সরকার) ফ্যাক্টসগুলো
গোপন করছে, ডেটাগুলো গোপন করছে। এর আগে টেস্টই করেনি… যে করতে
পেরেছে তার ওপর নিদের্শনা দিয়েছে। এখনও টেস্ট হচ্ছে খুবই কম।”
মাস্ক পরার বিষয়ে প্রচারণার
প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, “এই যে জনগণের অ্যাওয়ারনেসের অভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি, মাস্ক
পরে না। কেন পরে না? কারণ সরকার সেটা তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়নি। যে ক্যাম্পিং করা
দরকার, যে উদ্যোগটা নেওয়া দরকার, সেই উদ্যোগটা আসেনি সরকারের কাছ থেকে। যার ফলে সংক্রমণ
মারাত্মকভাবে বাড়ছে।”
মহামারীর মধ্যে জাতির
জনকের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব
বলেন, “এই যে, উৎসব পালন করা, বিদেশি মেহমানরা এসেছেন, তার অনেক আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ
থেকে বলা হয়েছিল, করোনা খুব মারাত্মকভাবে আসছে, অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। তারা উৎসব
পালন করার জন্য তা করেনি। এখন যেহেতু উৎসব শেষ হয়েছে, তাদের মহান অতিথিরা চলে গেছেন,
এখন তারা এই বিষয়টা আবার আনছে সামনে।”
ফখরুল বলেন, “আমরা
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত করতে
বাধ্য হয়েছি যখন তারা জনগণের ওপর আক্রমণ করেছে, হামলা করেছে। পরবর্তি সিদ্ধান্ত আমরা
মিটিং করে জানাব।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের
সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী,
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও চেয়ারপারসনের
প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।