ক্যাটাগরি

গাজীপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, পুলিশের মামলায় ১৭৪ আসামি

সোমবার রাতে গাজীপুর
সদর থানার এসআই মো. বায়োজিদের করা এই মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়
আরও ১২০/১৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার গাজীপুর
নগরীর মাধব বাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।  এই সময় পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণ করে।

স্বাধীনতার
সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও
ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা।
শুক্রবার, শনিবার ও রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হন। 

এই ঘটনায় ‘পুলিশের হামলার অভিযোগ
তুলে’ মঙ্গলবার বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়।

মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা গাজীপুর সদর থানার এসআই মো. সায়েদুর রহমান খান বলেন, সোমবার বিকালে স্থানীয়
বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বেআইনি সমাবেশ’ করছিলেন। এই সময় পুলিশ
তাদের বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে।

“এতে গাজীপুর সদর
থানার কনস্টেবল মো. মিঠু হোসেন এবং মিজানুর রহমান আহত হন। পরে পুলিশ শটগানের কয়েক
রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে শামীম ও শিহাব
নামের তাদের দুই নেতাকে আটক করে।”

রাতে ওই দুইজনসহ
মোট ১৭৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয় বলে তিনি জানান।

মহানগর বিএনপির
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, তিনদিন আগে হেফাজতে ইসলাম তথা
ইসলামী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর নির্বিচারে গুলি ও সরকার
দলীয় সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের প্রতিবাদে বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে মহানগর বিএনপি শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

“মিছিলটি শহরের
আজিম উদ্দিন কলেজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে ভাওয়াল রাজবাড়ী রোডে দলীয় কার্যালয়ের দিকে
যাচ্ছিল। পথে মাধব বাড়ির সামনে পৌঁছলে টহল পুলিশ গাড়ি থেকে নেমেই মিছিলে শটগানের
গুলি ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”

এই সময় মহানগর
বিএনপি’র কর্মী আব্দুস সালাম শামীম ও মহানগর সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক
রাজু আহমেদ জয়সহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।