ক্যাটাগরি

মিয়ানমারে আহত কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি

নৌকাযোগে দুই দেশের মধ্যবর্তী সালউইন নদী পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডের ম্যা স্যাম লায়েপ গ্রামে আসা শরণার্থীরা মিয়ানমারের কারেন জাতির লোক বলে মঙ্গলবার এক থাই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

কারেনরা মিয়ানমারের ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করছে।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো নীতি অনুসরণ করছে না।

কিন্তু ম্যা স্যাম লায়েপ এলাকার পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অধিকাংশ শরণার্থীকে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে কারণে এতে সীমান্ত পরিস্থিতি নিরাপদ থাকবে বলে মনে করছে তারা।

মঙ্গলবার মিয়ানমারের গ্রামবাসী কিয়াও লার ব্রি (৪৮) জানিয়েছেন, শনিবারের বিমান হামলার সময় জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার আগে বোমার শার্পনেলের আঘাতে জখম হয়েছিলেন তিনি, পরে আহত আরও ছয় জনের সঙ্গে নৌকায় উঠে নদী পার হয়ে ম্যা স্যাম লায়েপে এসেছেন তিনি।

“গ্রামবাসীরা গ্রামে ফিরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না, কারণ তা এখনও নিরাপদ নয়,” বলেছেন তিনি। 

থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন আরেক নারীর মুখে ক্ষতচিহ্ন ও ফোস্কা দেখা গেছে।

সোমবার মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেছে, থাইল্যান্ড হাজার হাজার হবু শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে।

থাই সৈন্যদের নজরদারীর মধ্যে নদীর পাড়ে লোকজন নৌকায় উঠছেন, মানবাধিকার আন্দোলনকারীদের ছাড়া এমন ভিডিও প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

সোমবার থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা এসব প্রতিবেদন অস্বীকার করেছিল; কিন্তু ওই দিনই সীমান্তবর্তী একটি জেলার একজন কর্মকর্তা স্থানীয় একটি বৈঠকে বলেছেন, মিয়ানমারের থেকে পালিয়ে আসা লোকজনকে আটকানো দরকার।  

বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। অনেকগুলো গোষ্ঠী অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দেশটির পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই উস্কে উঠেছে।

শনিবার থাইল্যান্ড সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সবচেয়ে পুরনো সংখ্যালঘু বাহিনী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) যোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াই শুরু হয়। কেএনইউও সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে।    

মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ফের বলেছেন, শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো নীতি তাদের নেই।

শরণার্থীরা কখনও কখনও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যান বলে দাবি করেছেন তিনি।