ক্যাটাগরি

সরকারই মদদ দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে: ফখরুল

দুই দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের
বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “সরকার একটা প্রচারণা চালাচ্ছে যে, আমরা হেফাজতকে সমর্থন দিয়েছি,
আমরা মৌলবাদকে সমর্থন দিয়েছি, আমরা সাম্প্রদায়িক একটা সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করছি।
পেছন দিক থেকে নাকি আমরা মদদ দিচ্ছি, উসকানি দিচ্ছি।

“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি নয়, উসকানি তো দিয়েছে সরকার। প্রথম
থেকে উসকানি দিয়ে আজকে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে তারা।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা
কলংকজনক অধ্যায় সংঘঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর যখন সমগ্র জাতি পালন করছে, তখন এই
অবৈধ সরকারের পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী পেটুয়া বাহিনীর গুলিতে ও আক্রমণে ঢাকা,
চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরেছে।

“এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। গতকাল সারা দেশে
মহানগরগুলো প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আজকে জেলা সদরগুলোতে প্রতিবাদ সমাবেশ-মিছিল হয়েছে।”

বিভিন্ন জায়গায় ‘পুলিশ ও আওয়ামী সশস্ত্র বাহিনী’ অস্ত্র নিয়ে মানুষের ওপর
চড়াও হয়েছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “গত কয়েকদিনে আমাদের হিসাব অনুযায়ী, ১৫ জন মানুষ
প্রাণ হারিয়েছে। আমরা পরিস্কার  করে বলতে চাই,
আমাদের প্রতিবাদ ছিল স্বাধীনতা দিবসে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে।”

‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির’ ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা
জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উপরে তারা আক্রমণ করেছে।
অথচ সারাক্ষণ সরকারি নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রীরা, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং আপনাদের অনেক
মিডিয়াই এই প্রচার চালাচ্ছে যে, তাণ্ডব, বিরোধী দলগুলো তারা হেফাজতি তাণ্ডব বলছে। হেফাজতের
সঙ্গে আমাদের এই কর্মসূচিগুলোর কোনো সংশ্রব নেই।”

চট্টগ্রাম, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, পটুয়াখালী, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল,
ঝালকাঠি, হবিগঞ্জ, বরগুনা, নারায়নগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা,
গাজীপুরসহ সারা দেশে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচিতে হামলায় আহত হওয়ার নিন্দা এবং গ্রেপ্তারকৃত
নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষনা
সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও চেয়ারপারসনের প্রেস
উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।