স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির বছরব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, “দেশে সুশাসন নেই। আইনের শাসন নেই। মুনাফালোভীরা দিন দিন উপরে উঠছে। প্রতিদিন জিনিসপত্রে দাম বাড়ছে। বাড়ছে মানুষের নিরাপত্তাহীনতা। গরীবের টাকা কিছু মানুষ লুট করে নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছে।”
“এখন সরকারি দল করলে সব জায়গায় সুবিধা পাওয়া যায়। আইন তখন এক রকম আচরণ করে। আমাদের টাকা কে লুট করছে? কেন লুট করছে? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এর জবাব দিতে হবে।”
দেশে ‘গণতান্ত্রিক শাসন নেই’ মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, “বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশ বলা হয়। এর কোনো যুক্তি নেই। সংসদকে নির্বাহী বিভাগ নিজেদের হাতে রেখে দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আদালত নিয়ন্ত্রণ করে। এক ব্যক্তির হাতে নির্বাহী-বিচার বিভাগ। ৯০ সালের পর থেকে বিএনপি-আওয়ামী লীগ এই কাজ করেছে।”
জিএম কাদের বলেন, “নির্বাচন করে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। কারণ যে দল ক্ষমতায় যাবে, তারা নিজেদের মত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। দল নয়, সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন আনতে হবে। না হলে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির পরিবর্তন হবে না। চাঁদাবাজ আর টেন্ডারবাজের পরিবর্তন হবে।”
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীয় উপলক্ষে দেশের সব বিভাগে অনুষ্ঠান করে দলের বক্তব্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান এইচ এম এরশাদের ছোট ভাই কাদের।
তিনি বলেন, “মানুষকে বোঝাতে হবে, জাতীয় পার্টি তাদের জন্য রাজনীতি করে। ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের বক্তব্য নিয়ে যেতে হবে। দেশের মানুষের প্রথ্যাশা পূরণ, স্বাধীনতার প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় পার্টি কাজ করবে। আর এজন্য দলের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, “ডিজিটাল আইনে মানুষকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষ উধাও হয়ে যাচ্ছে। জেল থেকে বিনা বিচারে মানুষ মারা যাচ্ছে। কার্টুনিস্ট কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্টুন এঁকেছিলো। সেজন্য তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে। সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারাই কথা বলছে, তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।“
ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের মহল কনভেনশন হলে এ অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলামও বক্তব্য দেন।